ভালুকায় প্রতারণার অভিযোগে গুলশাল স্পিনিং মিলের এমডির বিরুদ্ধ গ্রেফতারি পরোয়ানা

মীর ফাহাদ ভালুকা(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি-:

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ধামশুর মৌজার হালদাগ ৮২৭৫নং দাগে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের ১০শতাংশ জালিয়তি করে রেজিস্ট্রি কবলা করে দখলের অভিযোগে প্রতারণার মামলায় গুলশান স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জি,আর ৩নং আমলী আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্টেট মোঃ হাফিজ আল আসাদ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন গত রোববার। অভিযোগকারীনি জানান,উপজেলার ধামশুর মৌজার ৩৫১ নং ডিপি খতিয়ানের হাল ৮২৭৫নং দাগে পৈত্রিক সূত্রে আব্দুল হামিদ ওরফে হামিজ ফকির ৮ শতাংশ জমি মালিক হন। সেই জমি থেকে ৪ শতাংশ ৩১জুলাই ৯৭ সালে ৩০৫১ নম্বর দলিল মূলে মোরতুজা বেগমের কাছে। ১৬অক্টোবর ২০০৬ সালে ৪৪৬৫ নম্বর দলিল মূলে ৫ শতাংশ জমি (এক শতাংশ বেশি) শিল্পপতি মোস্তাক আলম চৌধুরীর কাছে সাফ কবলা দলিল মুলে বিক্রি করেন। পরে ওই জমিই আব্দুল হামিদ ওরফে হামিজ ফকির ও তার ছেলে প্রতারণা করে নামজারি জমা খারিজ ছাড়াই তারা ভূয়া কাগজপত্র বানিয়ে ১১১৬নং দলিল মুলে গত ৮ফেব্ররুয়ারী ২০১৭ সালে সাড়ে ১০ শতাংশ জমি গুলশান স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সিরাজ উদ্দিন আহম্মেদের কাছে জমি বিক্রি করেন। এ ঘটনায় মুরতুজা বেগমের মেয়ে লাভলী আক্তার বাদী হয়ে (৪২০/৪৬৭/৩৬৮/৪৭১/১০৯/ ও ৩৪ ধারায়) একটি মামলা করেন যার নং সিআর ১২৮/১৮ইং। মামলায় আসামী করা হয় আব্দুল হামিদ ওরফে হামিজ ফকির,কবির হোসেন ও গুলশান স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ। সেই মামলায় গত ২২জুলাই ধার্য তারিখ ছিলো। ওই তারিখে সিরাজুল ইসলাম কোর্টে উপস্থিত না হওয়ায় সিনিয়র ম্যাজিস্টেট মোঃ হাফিজ আল আসাদ আসামী কবীর হোসেনকে জেল হাজতে ও সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment